১০০০ টাকা চাঁদার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আটকিয়ে রাখে পুলিশের এএসআই সুভাষ ।
১০০০ টাকা চাঁদার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আটকিয়ে রাখে পুলিশের এএসআই সুভাষ ।ছেলেটি তার বাবাকে বাঁচাতে পারল না।

১০০০ টাকা চাঁদার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আটকিয়ে রাখে পুলিশের এএসআই সুভাষ ।ছেলেটি তার বাবাকে বাঁচাতে পারল না।
করোনা উপসর্গে অসুস্থ বাবাকে বাঁচাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক এমন অমানবিক অপরাধ করেন সাতক্ষীরা ইটাগাছা ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই সুভাষ চন্দ্র শিকদার। ছেলেকে দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। মোটরসাইকেল দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসার পথে ছেলেকে আটক করে পুলিশ। অক্সিজেনের অভাবে ততক্ষণে মারা যান তার বাবা।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের রজব আলির করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
রজব আলির ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে শহর থেকে একটি অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শহরের ইটাগাছা এলাকায় পৌঁছালে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ বিশ্বাস তার মোটরসাইকেলটি আটক করে। তিনি জানান, তার পিতা অসুস্থ, অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। তিনি টাকা না দিলে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে ২০০ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেছেন।
লকডাউন ও সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ নাগরিকদের বিপক্ষে কাজ করছে। এরা যেন সেই হানাদার বাহিনীর চেয়েও ভয়ঙ্কর।প্রতিটি নাগরিকের চিকিৎসার দায় পৃথিবীর সকল দেশেই সরকার নিচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশে নাগরিকদের উপর জুলুম করা হচ্ছে।
এই হত্যার দায় আইজিপি কে নিতে হবে।পুলিশ কে চাঁদাবাজ ও খুনি বানিয়েছে বেনজির আহমেদ।যে সন্তান নিজের বাবাকে এই সকল চাঁদাবাজদের কারনে বাঁচাতে পারল না।সেই সন্তানের মতন যেন আর কোন নাগরিকের এমন পরিস্থিতি না হয়।প্রয়োজনে সালথা থানার মতন এলাকবাসী এক হয়ে এদের বিচার করুন।জনগণের গোলামদের মনে রাখতে হবে তাদের বেতন তাদের বাবা নয় বরং নাগরিকদের ট্যাক্স থেকে দেওয়া হয়, নাগরিকদের সুরক্ষা ও সেবার জন্য যেন অপরাধ মুক্ত রাষ্ট্রে সকলেই নিরাপদে বসবাস করতে পারে।যদি পুলিশ ও সরকার নিজেরাই অপরাধী হয় তখন নাগরিকদের সবাইকে এক হতে হয়।
ইদানিং কিছু পুলিশ ফেসবুক এ নাটক বানাচ্ছে যেমন কোন ভ্যানগাড়ির চালক আটকিয়ে মানবতার ভিডিও বানাচ্ছে আবার অনেকেই দেখায় কিভাবে মাদক পাচার করছে।তাদের উদ্দ্যোগ গুলো যদি ১% সত্য হত তাহলে কষ্ট করে নাটক বানাতে হত না।সঠিক ভাবে ডিউটি পালন করুন।মাফিয়া সরকার বিদায় নেওয়ার সময় খুব কাছাকাছি তাই দয়াকরে কোন নাগরিকদের কষ্ট ও অবিচার করবেন না।সকলের হিসাব সঠিক ভাবে নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।কারও ঘরে অক্সিজেন প্রয়োজন হলে প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার নাগরিক অধিকার কি?