আমরা চাই এমন এক বাংলাদেশ যেখানে শত্রুও নিরাপদে থাকতে পারে।-ড. রাজু আহমেদ দিপু

কিছু সংস্কারে ড. ইউনূস যদি মাত্র ১০ মাসে দেশের মানুষের মন জয় করতে পারেন তাহলে বাকি সংস্কারে সাহায্য করে দেশ কে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।বাংলাদেশে একমাত্র নির্যাতিত দল আমরাই যারা শেখ হাসিনার প্রশংসা কিংবা পরিচয় আত্মগোপন করে রাজনীতি করি নাই।ইনশাআল্লাহ্ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার ত‍্যাগ কে গুটিকয়েক দালালদের কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আর খারাপ হতে দিবেন না।

আমরা চাই এমন এক বাংলাদেশ যেখানে শত্রুও নিরাপদে থাকতে পারে।-ড. রাজু আহমেদ দিপু
ড. রাজু আহমেদ দিপু
আজকের ও আগামীর রাজনীতির বিশেষত্বঃ বাংলাদেশে আগামী রাজনীতি হবে চীনের মহাপ্রাচিরের মতোই দৃঢ় একটি রাষ্ট্র হিসেবে যেখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হবে এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত হবে।এটাই সংস্কার। এই সংস্কার এর বিরোধিতা যারা করেছিল তারা চেয়েছিল বিএনপি আগামীতে নির্বাচিত হয়ে ১ বছর যেনো ক্ষমতায় না থাকতে পারে। ধরুন এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগ ততদিন পর্যন্ত রাজনীতি করতে পারবে না যতদিন তাদের সকল অপকর্ম ও হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ না হয় যা চলবে আগামী ১০ থেকে ২০ বছর তবুও এই ডিজিটাল যুগে সেই ৭১ এর মতন নাগরিকদের বোকা বানাতে পারবে না।যা পরবর্তীতে এই আওয়ামী লীগের অধিনে কেও রাজনীতি করতে পারবে না। তাহলে এই সংস্কার হলে সবচেয়ে কার লাভ বেশি? অবশ্যই বিএনপির কারন যদি সংস্কারের পর সকলের অবৈধ সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয় তাহলে আগামীতে দেশ চালানো আরও সহজ হয়ে যাবে। আবার যে সকল ব‍্যবসায়ী বছরে যারা ১০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি কিংবা তার চেয়ে বেশি ট‍্যাক্স দিয়েছে তাদের প্রত‍্যেকের ব‍্যবসা অনুসন্ধান করা হলে একেক জনের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আদায় সম্ভব হবে।যারা ১০ ভাগের ১ ভাগ ট‍্যাক্স দেয়নি শুধু ঘুষের সিস্টেম এর জন্য। এই পরিমাণটা এত বেশি যে রিজার্ভ ২০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে। যাদের টাকা দেশে ও বিদেশে পাচার হয়েছে। অনেক আওয়ামী লীগের ব‍্যাসায়ী আছে যারা দেশের বাইরে থেকে তাদের অবৈধ অর্থ দেশে নামে বেনামে চালাচ্ছে তা জব্দ হয়ে যাবে। Most Important (Source of Income & Source of Funds) যা সবাইকে দেখাতে হবে। এরপর কে চুরি করেছে কে ডাকাতি করেছে এমনকি কার বাবা ও দাদা করেছিল তা প্রকাশ হবে। এটা শুধু ব‍্যবসায়ী নয় বরং সরকারের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের হিসাব এবং সকল রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ইনভেস্টিগেশন করা হবে। ইতিমধ্যেই ব‍্যাংকের কর্মকর্তাদের শুরু হয়েছে কারন যতগুলো নামে বেনামে লোন দিয়েছে তাদের একটা কমিশন তারাও পেয়েছে। সংস্কারে সকল কিছু যখন বাস্তবায়ন হবে তখন যে নিয়মে জনাব তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেখছে সেই নিয়মে দেশ চালালে দেশের জনগণ লাভবান হবে এবং দেশের মানুষ বলবে এই আমাদের আরেক জিয়া, যিনি তার পিতার স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে এসেছেন। এটাই চাচ্ছেন না রান্ডিয়া ও আওয়ামী লীগ এবং যারা দিনে বিএনপি ও রাতে আওয়ামী লীগ করেছিল তারা। আজ অনেকেই বিষন্ন ছিলো যারা তাদের মিশন সফল করতে পারেনি আবার তাদের চলবে তাদের সেই একই চক্রান্ত কিন্তু তা জনগণের কাছে স্পষ্ট ও পরিষ্কার করার ক্ষমতা আমাদের কে আল্লাহ্ দিয়েছেন তাই তারা আমাদের আগে যতই পরিকল্পনা করুক তারপরেও শেষে আমাদের কথাই ফলাফল হয়। বিএনপির সকল ঐক্যজোট বাদ দেওয়া উচিৎ কারন এখন আওয়ামী লীগ নেই।দলের মধ্যে যারা গত ১৫/২০ বছরের ত‍্যাগী আছে তারা কেনো তাদের আসন ছেড়ে দেবে ⁉️ গতকাল পটুয়াখালী গলাচিপায় বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে যারা তারা কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই করেছে। এর আগে গোলাম মাওলা রনি কে দিয়েছিল নমিনেশন তারপর কি পেলাম সেটা তো সবাই দেখতে পেয়েছে। যারা হাসিনার সাথে আঁতাত করেছে তাদের সাথে যুক্ত হতে হবে কেনো? পার্থের মতো যদি ১ ব‍্যক্তির রাজনীতি করে তাহলে তাদের সেই রাজনৈতিক দল গঠন করতে হয় কেনো? রাজনীতিতে সুবিধাগ্রস্ত হলে ব‍্যক্তিত্বহীন বলে আর ব‍্যক্তিত্বহীনরা কর্মী হতে পারে নেতা নয়! এনসিপির কথা আমি কিছু বলবো না।এরা আমাদের ছোট ভাই যারা গণভবন ঘেরাও তে সক্রিয় ছিল।পাশাপাশি ছিল রেড জুলাই সহ অন্যান্য সংগঠনের ছাত্ররা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সহ সকল নাগরিক এমনকি আমার রিক্সা চালক ভাই ও নানান পেশার মানুষ। তাদের সকলের আত্মত্যাগ ও আমাদের শহীদ পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ ইনশাআল্লাহ যে দিন দেশে প্রত্যাবর্তন করবো সেদিন সরাসরি করবো। এমনকি যাদের কথা দিয়েছি শহীদদের মা ও পরিবারকে। আমরা চাই এমন এক বাংলাদেশ যেখানে শত্রুও নিরাপদে থাকতে পারে। যদিও ব‍্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই কারও সাথে। দেশের ও দলের শত্রুই আমার শক্র যার সংখ্যা সিমানাহীন। ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশ বড়। আশা করছি আজকের 1 to 1 মিটিং অনেক সফল হয়েছে এবং আগামী কাল থেকে ড. ইউনূসকে সকলেই সহযোগিতা করবেন। সকলেই মনে রাখবেন যত তাড়াতাড়ি সংস্কার হবে তত দ্রুত নির্বাচন আর যারা সহযোগিতা করবে না তারাই দুর্নীতিবাজ ও দেশদ্রোহী। কিছু সংস্কারে জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি মাত্র ১০ মাসে দেশের মানুষের মন জয় করতে পারেন তাহলে বাকি সংস্কারে সাহায্য করে দেশ কে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।বাংলাদেশে একমাত্র নির্যাতিত দল আমরাই যারা শেখ হাসিনার প্রশংসা কিংবা পরিচয় আত্মগোপন করে রাজনীতি করি নাই।ইনশাআল্লাহ্ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার ত‍্যাগ কে গুটিকয়েক দালালদের কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আর খারাপ হতে দিবেন না। যে সকল ব‍্যাংকে জনাব তারেক রহমানের নামে ১/১১ দালাল গুলো লোন চাচ্ছে তাদের দিবেন না।সবাই উনার নাম ব‍্যবহার করে ব‍্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে যাচ্ছে ৫ই আগস্টের পর থেকে। আগামীকাল থেকে যদি ১ টি অপরাধ কেও করে দলের অধিনে তার দ্বায় ঐ জেলার যিনি দলীয় প্রধান আছেন তিনি হবেন এবং সেই অপরাধের দায়ে উনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনাদের কারনেই আমাদের সত্যিকারে যারা নির্যাতিত তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। ইনশাআল্লাহ্ আগামীতে জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশে সফল রাষ্ট্রনায়ক হবেন।যে প্রতিশ্রুতি আমি তাকে দিয়েছিলাম। পরিশেষে, আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে শত্রুও নিরাপদে থাকতে পারে। আমাদের শত্রু কারও ব্যক্তি নয়—শুধু দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু।আসুন সবাই মিলে আমাদের দেশের শত্রুদের প্রতিহত করি। দেশের জন‍্য এবং প্রতিটি নাগরিকের জন্য। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ড. রাজু আহমেদ দিপু Email: dipu@countrypolicy.com