যশোরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ভারতফেরত আরেক রোগীর মৃত্যু

যশোরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত বিমল চন্দ্র দে (৬০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি যশোর উপশহরের বলাকা হোটেলে মারা যান। গত বৃহস্পতিবার যশোরেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা এক জনের মারা গিয়েছিলেন।

যশোরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ভারতফেরত আরেক রোগীর মৃত্যু

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিমল চন্দ্র দে ক্যান্সারের শেষ স্টেজের রোগী ছিলেন।

বিমল চন্দ্র দে শরীয়তপুর সদরের পালং এলাকার গৌরাঙ্গ চন্দ্র দের ছেলে। কোয়ারেন্টিনে তার সঙ্গে তার স্ত্রী ও ছেলে ছিলেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিমল চন্দ্র ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। গত ৮ মে তারা বেনাপোল হয়ে দেশে ফেরেন। ওইদিনই তাদের যশোর উপশহরের বলাকা হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। আজ দুপুরের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে তাকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, বিমল চন্দ্র ফুসফুস ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, বিমল চন্দ্র, তার স্ত্রী ও ছেলের এন্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া তাদের প্রত্যেকের পিসিআর টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিমল চন্দ্রের মরদেহ তার স্ত্রী ও ছেলেকে পুলিশের সহায়তায় শরিয়তপুরে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৩ মে যশোর হাসান হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা আম্বিয়া খাতুন (৩৩) নামে এক ক্যান্সার রোগী মারা যান।