নাগরিকদের ৩ কোটি টাকা নিয়ে পোষ্ট মাস্টার পালিয়েছে

বাংলাদেশে বর্তমানে কোথাও টাকা রাখা নিরাপদ নয়।ব্যাংকে টাকা রাখবেন তাহলে সরকার পাচার করে নিয়ে যাবে অথবা ডাকাতি করে শেষ করবে।বৈদেশিক ঋণ সহ নানা রকম তৎপরতায় আগামীতে মূদ্রাস্ফীতি হবে তাই ব্যাংকে টাকা না রেখে স্বর্ণ কিনুন কিংবা জমি কিনুন।মাফিয়া সরকার দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ধ্বংস করে দিবে তাই সকলেই সতর্ক থাকুন।

নাগরিকদের ৩ কোটি টাকা নিয়ে পোষ্ট মাস্টার পালিয়েছে

Bengali Press Google News , YouTube, Facebook ,

Twitter Subscribe করুন। Download Our Apps: App Store , Google Play

www.news.google.com

পাবনায় নগদ এর নামে টাকা জমা করে নাগরিকদের ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে পোস্ট মাস্টার ও পিয়ন। জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়ন পোস্ট অফিসে এঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডাক বিভাগ। তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে দাবী করেছেএকাধিক ভুক্তভুগির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাগরকান্দি ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুল যোগসাজসে প্রায় ৩ কেটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন।

ভুক্তভুগিরা জানান, প্রতারক পোস্ট মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুল গ্রাহকদের বলেন, নগদে টাকা রাখলে লাভ বেশি। এজন্য সরকার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ডিজিটাল সেবা দেবার জন্য পোষ্ট অফিসের পাশাপাশি আর একটি সংস্থা চালু করছেন। যার নাম পল্লী কুরিয়ার সার্ভিস প্রাঃ লি: নগদ রেজিঃ নং-সি-৫৩৬৭৭(৩৪২) ২০০৪। এমনই ভুল ভাল বুঝিয়ে পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুল ও পোষ্ট মাষ্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ঐ এলাকার একাধিক নারী পুরুষের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন।সাগরকান্দি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, মেয়ের বিয়ের জন্য তিনি প্রায় দশ বছর ধরে জমানো পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পোস্টম্যান (পিয়ন) আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি চারমাস আগে নগদের নামে হিসাব খুলে নূর ইসলাম বকুলের কাছে টাকা জমা দেন। চার মাসে তাকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে মুনাফাও দিয়েছে। গত সপ্তাহে মেয়ের বিয়ে ঠিক হলে টাকা তুলতে আসেন তিনি। তাকে একদিন পর আসতে বলেন।এছাড়া একই ধরনের ভুক্তভুগি মোছা. আলেয়া খাতুন, মোছা. বুলু খাতুন, মো. খালেক ফকির, সুফিয়া খাতুন, মোছা. হুলুফা খাতুন, মো. মানিক মোল্লাসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, একেক জনের কাছ থেকে ২লাখ, ৫ লাখ, ৭ লাখ, ৮লাখ করে টাকা নিয়েছে।

তারা আরো বলেন, পোষ্ট অফিসে টাকা রাখার জন্য গেলে পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুল আমাদের বলে নগদে টাকা রাখলে লাভ বেশি হবে। আমরা বকুলের কথা শুনে নগদে টাকা রেখেছি। বিনিময়ে বকুল আমাদের নগদের টোকেন দিয়েছেন। টোকেনে লেখা আছে পল্লী কুড়িয়ার সার্ভিস প্রাঃ লিঃ নগদ রেজিঃ নং-সি-৫৩৬৭৭(৩৪২)২০০৪। আমরা কিছু দিন পরে পোষ্ট অফিসে টাকা তুলতে গেলে মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুল ও পোষ্ট মাষ্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আমাদের সাথে নানান তালবাহানা শুরু করেন। টাকা না দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকেন। তখন আমরা বিষয়টি স্থানীয় সাগরকান্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীকে জানালে তিনি পোষ্ট অফিসের পোষ্টম্যানকে পরিষদে ডেকে জিঙ্গাসাবাদ করলে প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।এ ব্যাপারে সাগরকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সাতবাড়িয়া পোষ্ট অফিসে এবং সাতবাড়িয়া পোষ্ট মাষ্টার রফিকুল ইসলামকে সাগরকান্দি পোষ্ট অফিসে বদলি করা হয়েছে বলে জানতে পেড়েছি। এ বিষয়ে সাগরকান্দী ইউনিয়নের নতুন যোগদানকৃত পোস্টমাস্টার রফিকুল ইসলাম প্রতারিত গ্রাহকদের বই হাতে নিয়ে বলেন, এসব বই ডাক বিভাগের না, গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।সুজাানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, কয়েকজন ভুক্তভুগি মৌখিকভাবে জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।পাবনা ডাক বিভাগের পোস্ট অফিস পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির সদস্য শাহিন জুবায়ের হাসান খান জানান, পোস্ট মাস্টার আব্দুল্লাহ ও পিয়ন নূর ইসলাম গর্হিত অপরাধ করেছেন। তারা নগদের নাম লোগো ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। আমরা সরেজমিনে প্রমাণও পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্যও আমরা চেষ্টা করব।এ বিষয়ে পাবনা ডাক বিভাগের ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাগরকান্দি পোষ্ট অফিসের একজন পোস্টম্যান পল্লী কুড়িয়ার সার্ভিস প্রাঃ লি: নগদ এর মতো করে বই তৈরি করে এক লাখে এক হাজার টাকা লাভ দেবার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পোস্ট অফিসের সাথে কুড়িয়ারের এধরণের কোন সম্পর্ক নেই। বইতে নগদের লোগ দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বদলি করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনা প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি ভুক্তভুগিরা।এ ঘটনায় অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুলের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

Source: নয়া শতাব্দী

বাংলাদেশে বর্তমানে কোথাও টাকা রাখা নিরাপদ নয়।ব্যাংকে টাকা রাখবেন তাহলে সরকার পাচার করে নিয়ে যাবে অথবা ডাকাতি করে শেষ করবে।বৈদেশিক ঋণ সহ নানা রকম তৎপরতায় আগামীতে মূদ্রাস্ফীতি হবে তাই ব্যাংকে টাকা না রেখে স্বর্ণ কিনুন কিংবা জমি কিনুন।মাফিয়া সরকার দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ধ্বংস করে দিবে তাই সকলেই সতর্ক থাকুন।